ভালুকায় ধর্ষিতার ধর্ষণ মূল্য লাখ টাকা



ভালুকা উপজেলার নয়নপূর গ্রামে দুই সন্তানের জননী, এক নারী মিল শ্রমিককে দুই যুবক জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল খালেক ও আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে সালিশ বসে দুই ধর্ষককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়,গত ১১এপ্রিল রাতে মিল ছুটি হওয়ার পর উপজেলার নয়নপূর শাবদুল মিয়ার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী (৪২) হামিদ গার্মেন্টসের শ্রমিক পিক-আপ যোগে বাসায় ফেরার পথে নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের ছেলে মোশারফ হোসেন ও জালাল উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন নয়নপূর স্লুইস গেইটের কাছে পিক-আপ থেকে নামিয়ে ওই নারী শ্রমিককে জোরপূর্বক স্লুইস গেইটে নিচে নিয়ে সেখানে তারা পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বিচারের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক সপ্তাহ পর সোমবার সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদকে নিয়ে স্থানীয় ভাবে নয়নপূর স্লুইসগেইট বাজারে সালিশে বসেন। এবং সালিশে দুই ধর্ষককে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ধর্ষিতার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার, কালিহাতি উপজেলার হরিপূর গ্রামে। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে নয়নপূর গ্রামে অন্তর আলীর বাড়িতে গত ৩বছর যাবত ভাড়া থেকে মিলে চাকরি করছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক ভালুকা ডট কম কে জানান,আমি ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হামিদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ করেছি। মহিলার আনিত স্বাক্ষিদের দ্বারা ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেননি। দরবারে অভিযুক্ত দুইজনকে এক লাখ টাকা জরিমানার করা হয়েছে। এখনো তারা জরিমানার টাকা দেয়নি, দুই-এক দিনের মাঝে জরিমানার টাকা দিয়ে দিবে। “ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেননি তবে এক লাখ টাকা জরিমানার করা হয়েছে কি জন্য এমন প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর ইউপি সদস্য দেননি ।”

ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হজরত আলী জানান,আমাদের কাছে এ জাতীয় অভিযোগ নিয়ে আসেননি। যদি ধর্ষণের বিষয় হয়ে থাকে,তাহলে সেটি স্থানীয় ভাবে আপোস মিমংসার মতো অপরাধ নয়। যদি কেউ স্থানীয় ভাবে আপোস মিমাংসা করে থাকেন তাহলে ঠিক করেননি।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment