জেকব মিল্টন : আওয়ামীলিগের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথার কারন ।

জেকব মিল্টন : শেখ হাসিনা, তার পুত্র জয় এবং আওয়ামী লীগ এর সবচেয়ে বেশি মাথা ব্যথার কারণ
__________________________________________________

দেশের এবং বিদেশের বিভিন্ন মহলে এমনকি মন্ত্রী পাড়ায় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে কে এই জ্যাকব মিল্টন?
রাজনীতি'র সাথে জড়িত নয় অথচ এই কেউটে ব্যক্তিটি স্বয়ং শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় সহ আওয়ামী ঘরানার অনেকেরই ঘুম হারাম করে দিয়েছে!!!যেখানে দেশের ভিতরে এবং বাহিরে কোনো
বাংলাদেশী সাহস পাচ্ছে না আওয়ামী সরকারের কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলতে বিশেষ করে শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্রকে নিয়ে সমালোচনা করতে সেখানে এই জেকব মিল্টন নামের কেউ একজন হঠাৎ করে শেখ হাসিনা পরিবারের ক্লোজেট এ লুকানো আবর্জনা আর আওয়ামী লীগের অপকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরা শুরু করলেন।

গত দেড় বছরের মধ্যে জেকব মিল্টন নামের লোকটি শেখ হাসিনা, তার পরিবার এবং আওয়ামী লীগ এর বিরুদ্ধে যা করছেন তা মূলত বিরোধী দল গুলোর কাজ। বিরোধী দলগুলোর নপুংসতার সুযোগে শেখ হাসিনা আর তার দল মহা আনন্দেই ১৬ কোটি মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছিলো। সুশীল সমাজের অধিকাংশকেই শেখ হাসিনা ক্রয় করতে সমর্থ হয়েছেন। বুদ্ধিজীবীরা শেখ হাসিনা এবং ইন্ডিয়া'র কাছ থেকে পয়সা খেয়ে পেটে চর্বি জমেছিলেন আর টেলিভিশনের পর্দায় গিয়ে শেখ হাসিনাকে পীর থেকে শুরু করে মহামানবী বানাচ্ছিলেন। ঠিক তখনি জেকব মিল্টন নামের লোকটির উদয়। নিউ ইয়র্কের একটি টেলিভিশনের পর্দায় দীপ্ত এবং বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলে উঠলেন" WELCOME TO WATCH WE ARE THE PEOPLE WITH JACOB MILTON."

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রতিটি কর্মকান্ডকে তুলে ধরলেন টেলিভিশনের পর্দায়। নিউ ইয়র্কের কোনো সাংবাদিক বা তথাকথিত রাজনীতিবিদরা এই শোতে এসে মুখ খোলা তো দূরের কথা, রীতিমতো পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।যেখানে সবাই টেলিভিশন এ সাক্ষাৎকার দিতে লোকজন পাগল সেইখানে WE ARE THE PEOPLE WITH JACOB MILTON এর নাম শুনেই লোকজন মুখ শুকাতো। টেলিভশন কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন হাতজোড় করে বলতো "জেকব ভাই, আমাদের টেলিভিশনটা বাংলাদেশ সরকার বন্ধ করে দেবে। আমার ভাই বোনদেরকে বাংলাদেশের RAB উঠিয়ে নিয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।" কিন্তু জেকব মিল্টন ছিলেন অনড়। তিনি একের পর এক ইন্টারভিউ করা শুরু করলেন। কখনো দেশি আবার কখনো বিদেশী। সকল সাক্ষাৎকারের মধ্যে নিম্নোক্ত শো গুলোতে তিনি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্মম ভাবে আঘাত করেছেন :শেখ হাসিনা তার পেটোয়া ইউনিফর্ম জংগিদের দিয়ে বিএনপি'র আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করালেন দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে। অভিযোগটা ছিল এই রকম যে "আসলাম চৌধুরী মেন্দী সাফাদি নামের একজনের সাথে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করেছে আর এই মেন্দি সাফাদি ইস্রায়েল এর গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর একজন এজেন্ট।আওয়ামী লীগ এর প্ল্যান ঠিক মতোই এগোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে জেকব মিল্টন নামের ব্যাক্তিটি মেন্দী সাফাদি নামের লোকটিকে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে নিউ ইয়র্কে এনে টিভি স্টুডিওতে বসিয়ে একটা ইন্টারভিউ করলেন। সেই ইন্টারভিউতে জেকব মিল্টন মেন্দী সাফাদি'র পেটের কথা বের করে আনলেন। মেন্দী সাফাদি স্বীকার করলেন যে:


১. তিনি মোসাদ এর কোনো এজেন্ট নন।
২. শেখ হাসিনা পুত্র জয় আসলাম চৌধুরীর আগেই ওয়াশিংটনে বসে মেন্দী সাফাদির সাথে দেখা করেছে।
৩. সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় মেন্দী সাফাদিকে ঘুষ দেয়ারও চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করার জন্য।

এই ইন্টারভিউ প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়লো আওয়ামী লীগ এর ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। শেখ হাসিনা জাপানে থাকাকালীনই বিবৃতি দিতে বাধ্য হলেন। তার মন্ত্রীবর্গ আর দলের মহাসচিবরা সত্য মিথ্যা মিলিয়ে বিবৃতি দেয়া শুরু করলেন।তাদের মাথায় হাজারো প্রশ্ন জাগলো যে কে এই জেকব মিল্টন। স্বয়ং হাসিনা সকলকে নির্দেশ দিলেন খুঁজে বের করতে যে কে এই জেকব মিল্টন! দলের বৃহত্তর পা-চাটা হানিফ মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে একটা বিবৃতি তৈরী করলেন। বললেন "যুক্তরাজ্য প্রবাসী জেকব মিল্টন, বিএনপির একজন নেতা। জেকব মিল্টন এই মিথ্যা ইন্টারভিউ করেছে, জেকব মিলটনকে গ্রেফতার করে দেশে এনে বিচার করা হবে।" অথচ জেকব মিল্টন আটলান্টিক এর ওপর পাড় নিউ ইয়র্ক প্রবাসী যার সাথে বিএনপি তো দূরের কথা, কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেই তার সম্পর্ক নেই। হাসিনা পুত্র তার গতানুগতিক ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে বললেন "আমি মেন্দী সাফাদির সাথে দেখা করিনি।" বিবৃতি টা এমনি ছিল যে "ঠাকুর ঘরে কে আমি কলা খাইনি।"




মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক



Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment