চাকরীর নামে এ কোন উপহাস বেকারদের সাথে?

সরকারী একটা দপ্তরে ৫ জন লোক নিয়োগ হবে। বেতন ২২৫০০ টাকা, যোগ্যতা স্নাতক পাশ। পত্রিকার পাতায় পাতায় বিজ্ঞাপন। আবেদন পত্রের সাথে ১০০০ টাকার ট্রেজারি চালান। ভাগ্য পরিবর্তনে ১০০০ টাকা, এ আর এমন কি! পড়লো ১ লক্ষের বেশি আবেদন।

পরীক্ষা, প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা বাতিল, মন্ত্রী-এমপি-আমলাদের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ; আমি সেদিকে গেলাম না!


আচ্ছা, প্রত্যেকের কাছে ১০০০ টাকার ট্রেজারি চালান হিসেবে ১ লক্ষ বেকারের কাছে মোট কতো টাকা পেলো প্রশাসন? ১০০০০০*১০০০ = ১০০০০০০০০ টাকা বা ১০ কোটি টাকা।

এবার আসি ৫ জন লোকবলের বেতনে। ২২৫০০ টাকা মাসিক হিসেবে ৫ জন লোকবলের সর্বমোট মাসিক বেতন ২২৫০০*৫ = ১১২৫০০ টাকা
১ বছরে ৫ জন লোকবলের বেতন বাবদ সর্বমোট প্রাপ্য ১১২৫০০*১২ = ১৩,৫০০০০ টাকা

যদি ৩০ বছর তারা ওই চাকুরী করেন তবে ৩০ বছরে তাদের প্রাপ্য মোট বেতনের পরিমান ১৩,৫০০০০*৩০ = ৪০৫০০০০০ বা ৪ কোটি ৫ লক্ষ টাকা মাত্র।

যদি উৎসব ভাতা, বেতন বৃদ্ধিসহ নানান সুযোগ সুবিধা যোগ করা হয় তারপরও ৩০ বছরেও ৫ জন কর্মকর্তার সর্বমোট পাওনা ১০ কোটি টাকা হয় না। অথচ পরীক্ষার নামে বেকারদের পকেট থেকে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া শেষ! এমনকি বেকারদের কাছ থেকে উত্তোলিত ১০ কোটি টাকা ব্যাংকে রাখলেও লভ্যাংশ থেকেই সবাইকে বেতন দেয়া সম্ভব!

কি ভয়াবহ! চাকরীর নামে এ কোন উপহাস বেকারদের সাথে? সব ধরনের চাকরীর আবেদনে খরচের নামে এই অর্থগ্রহণ (ট্রেজারি চালান বা যে নামেই হোক না কেন) বন্ধ করা হোক। আওয়াজ তুলুন।

Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment