স্পেশাল ট্রাইবুনালে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা/কর্মচারী : যারা আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য মানবাধিকার লংঘন করছে

বাংলাদেশের মানুষগুলোর বর্তমান জীবন যাত্রা এবং বিভিন্ন অবস্থার কথা চিন্তা করলে সমবেদনার পরিবর্তে আমি কষ্ট অনুভব করি। ১৬০ মিলিয়ন বাংলাদেশী যে কি অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে তা দূরে বসে আমরা শুধু অনুভব করতে পারি। তাও পুরাপুরি অনুভব করা সম্ভব নয় যেহেতু এর আগে কখনো কেউ বাংলাদেশকে এভাবে শোষণ করেনি শাসনের নাম দিয়ে।

বর্তমানে বাংলাদেশী মানুষগুলো বসবাস করছে দুইজন সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছামাফিক। এক সৃষ্টিকর্তা বিচার করবে মারা যাবার পর কিন্তু হাসিনা নামের সৃষ্টিকর্তা তার ইচ্ছামতো যে কাউকে খুন করতে পারে চোখের পলকের মধ্যে। কারো কোনো অন্যায় করার দরকার নেয়। কেউ যদি মারা যেতে চায় তাকে শুধু বলতে হবে যে, বাবা ইব্রাহিম মুসলমানদের জাতির পিতা। মুজিব শেখরে আমি চিনিনা। আর যদি কেউ মন্ত্রী হতে চায় তবে তাকে বলতে হবে যে মুজিব শেখ আমাদের মুসলমান জাহানের পঞ্চম খলিফা আর হাসিনা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী। পাশাপাশি যদি দুই চারটা খুন করতে পারে তবে প্রেসিডেন্ট হবারও সম্ভবনা আছে।

আমরা সবাই জানি যে হাসিনা শেখ নামের এক মহিলা বাংলাদেশ নামের দেশটাকে তার ইচ্ছা মতো পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে মাফিয়া স্টাইলে সরকার পরিচালনা করছে। কিন্তু একজন মহিলা এবং তার পরিবার দ্বারা সম্ভব না ১৬০ মিলিয়ন মানুষকে জিম্মি করে রাখার।হাসিনা শেখ নামের এই ব্যাক্তিকে কিছু ব্যক্তিবর্গ তাদের স্বার্থের জন্য সাহায্য করে। প্রতিদিন তারা হাসিনা শেখের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য খুন, রাহাজানি, লুটপাট সহ এহেন কোনো কাজ নেই যে তারা করেনা। তারা পা চাটায় খুবই পারদর্শী। যখন যেই সরকার আসে তারা তাদেরই তাবেদার।কিন্তু দেশের মানুষ তাদেরকে কখনোই চিহ্নিত করেন না বলে তারা সব সময় পার পেয়ে যায়। সবাই শুধু হাসিনা শেখ, খালেদা জিয়া আর এরশাদের দোষ নিয়েই কথা বলে। পার পেয়ে যায় এই পাচাটা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগুলো। বিশেষ করে পুলিশ, ৱ্যাব , এবং এস্পেশাল ফোর্সের সদস্যবৃন্দ। এরা যথেষ্ট ক্ষমতার অধিকারী এবং অনেক অসৎ পয়সা উপার্জন করে। তাদের ছেলেমেয়ে কেউই বাংলাদেশে থাকেনা। এরা অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে রাখে বিশেষ করে ইন্ডিয়া'র। দেশে ক্ষমতার হাতবদল হলেই তারা বর্ডার ক্রস করে। বাংলাদেশী হিন্দুদের মতো তাদের প্রত্যেকের ইন্ডিয়াতে ঘরবাড়ি আছে।

একজন দেশপ্রেমী বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব এদের চিহ্নিত করা। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আমাদের প্রানপ্রিয় দেশ সামনে এগুবে না। এরা আজ হাসিনা কাল খালেদা পরশু এরশাদের তাবেদারী করে ক্ষমতা ও প্রাচুর্য দুটোই ভোগ করবে আর দেশের সাধারণ মানুষ অন্ন, বস্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তা পাবেনা এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মূহুর্তে হয়তো দেশে বসে কারো দ্বারা কিছুঁই করা সম্ভব না, কিন্তু ওই সময়টা খুব বেশি দূরে না যখন এই পাঁচাটাগুলো তাদের জীবন ভিক্ষা চাইবে।

সবাই মনে করে দেখুন যে জেনারেল মঈন নামের যেই মীর জাফর আমাদের দেশটাকে এই জাহান্নামের রাস্তায় পৌঁছিয়েচে, সে কতটা ক্ষমতাধর ব্যাক্তি ছিলো। এখন তার দিকে তাকিয়ে দেখুন। নিউ ইয়র্কে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আর লোকজনদের বলছে যে তার ক্যান্সার হয়েছে। কিছুদিন আগে তাকে কুকুর পর্যন্ত কামড়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের কোনো পুলিশ অথবা ৱ্যাব জেনারেল মইনের মতো ক্ষমতাধর না। কিন্তু এই কাপুরুষগুলো ভান করে যে তারা কতটা সাহসী এবং বিজ্ঞ। বাস্তবে এরা কাপুরুষ এবং মুখোশ পরে জীবন কাটায়।বর্তমানে এই কাপুরুষগুলো নিজের বৌ'বাঁচ্চাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিন গুনছে যে হাসিনা'র পতন কবে হবে। অথচ এদের অত্যাচার এখন এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে কত মানুষ প্রতিনিয়ত আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে অত্যাচার সৈহ্য করতে না পেরে। একজন স্বামী তার স্ত্রীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত, একজন স্ত্রী তার স্বামীর প্রেম থেকে বঞ্চিত, সন্তানরা তাদের বাবার আদর থেকে বঞ্চিত। একজন মা এখন সন্তানদের চুপ থাকতে বলেন এই ভয়ে যে পাশেই হয়তো আছে পুলিশ বা ৱ্যাব নামের মহীরুহ।

দেশের এমন অবস্থায় কোনো বিবেকবান মানুষ চুপ থাকতে পারেনা যেহেতু সবারই প্রিয়জন একইভাবে ভুক্তভোগী। দেশের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে তার মা বলে দিয়েছে সে যেন আর দেশ না যায়। এমনকি মা মরে গেলেও না।

উই আর দি পিপল উইথ জেকব মিল্টন ১৬০ মিলিয়ন বাংলাদেশিদের স্বার্থে, দেশের এই পাচাটা কাপুরুষদের চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারাই হাসিনা শেখকে ক্ষমতায় রাখার জন্য জনগণের অধিকার খর্বে লিপ্ত এবং সেই লক্ষ্যে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাদের নাম এক এক করে প্রকাশ করা হবে। এরা পুলিশ অথবা ৱ্যাব এর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ সদস্য হতে পারে, প্রজাতন্ত্রের যেকোনো কর্মকর্তা অথবা কর্মচারী হতে পারে, অনির্বাচিত মেয়র অথবা এমপি হতে পারে। আমরা তাদের নাম প্রকাশের আগে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা এদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছেন তারা আমাদের সাথে সত্বর যোগাযোগ করুন। যারা অত্যাচারিত নন কিন্তু এই পাচাটা কাপুরুষদের অত্যাচারের তথ্য আপনাদের কাছে আছে তারাও আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনাদের সকলের নাম গোপন রাখা হবে। কেউই আপনাদের নাম জানতে পারবে না।

আপনাদের কাছ থেকে তথ্য প্রমান পাওয়ার পর আমরা তাদেরকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। এরা কোনো ভাবেই পার পাবে না। ইউরোপ অথবা আমেরিকা এসে বসবাস করার সুযোগও পাবে না। অসৎ উপায়ে অর্জিত টাকা পয়সা তারা হজম করতে পারবেনা।

আপনাদের সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে চল্লিশের দশকে। এখনো ঐসব নাৎসি ক্রিমিনালদের বিচার হয়। জাতি হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা যদি চুপ করে থাকি, কেউই আমাদের জন্য কোথাও বলতেও আসবে না। আরো একটা কথা আপনাদের মনে করিয়ে এই লেখা শেষ করবো।"সংখ্যাগুরু মানুষ বারবার অন্যায় এবং অবিচারের মুখোমুখি হয় কারণ সংখ্যাগুরু লোকগুলো সংখ্যালঘু কাপুরুষদের অন্যায় করাকে প্রশ্রয় দেয়।"

জেকব মিল্টন
উই আর দি পিপল
Click Here For Sports News

Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment