বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস সার্ভিসেস যদি ইন্ডিয়ান কম্যান্ড এ দেয়া হয় এবং অতপরঃ বাংলাদেশ হবে ইন্ডিয়ার CHECHNYA। রাশিয়া যেভাবে রমজান কাদিরভ কে দিয়ে CHECHNYA কন্ট্রোল করছে ইন্ডিয়া ঠিক একই ভাবে হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশ কন্ট্রোল করছে। বাংলাদেশের অবস্থা CHECHNYA'র চেয়েও ভয়াবহ হবে যদি না আমরা এখন থেকেই রুখে না দাড়াই।
_________________________________________________অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ আর্মি, নেভী এবং এয়ার ফোর্স আর বাংলদেশের কম্যান্ড এ নেই।
বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের মানুষকে অভ্যস্থ করানো হচ্ছে যে আর্মড ফোর্সেস সার্ভিস এর কম্যান্ড ইন্ডিয়ার কন্ট্রোল এ দেয়া এমন কোনো ব্যাপার ই না।অতীতে যেমন নিরীহ দেশবাসীদেরকে বোঝানো হয়েছিল ইন্ডিয়া'র সাথে বাংলাদেশের সামরিক মহড়া শুধুমাত্র আমাদের সৈনিকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য।হাসিনা, তার আবাল পুত্র জয়দাশ সহ আওয়ামী লীগ এর সকল সকল ইন্ডিয়ান অনুগত নেতা এবং পা-চাটা বুদ্ধিজীবীরা ইন্ডিয়া'র সাফাই গেয়ে বলেছিলো যে "বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের সামরিক মহড়া হতেই পারে।" তারা চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তানের সামরিক মহড়ার উদাহরণ দিয়ে বলেছিলো যে ইন্ডিয়া'র সাথে বাংলাদেশের সামরিক মহড়া বাংলাদেশ স্বসস্ত্রবাহিনীকে উপকৃত করবে।" পক্ষান্তরে আমি বলেছিলাম, "এটা সামরিক মহড়া নয়। ইন্ডিয়াকে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অবস্থান এবং ফরমেশন এর কমান্ড স্ট্রাকচার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।"
বাজারে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে ইন্ডিয়ান পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী তাদের নিযুক্ত এবং বাংলাদেশের অবৈধ সরকার প্রধান হাসিনার কাছে প্রস্তাব দিয়েছে যে ইন্ডিয়া'র হাতে যদি বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস সার্ভিসেস এর কম্যান্ড যদি ইন্ডিয়ার কন্ট্রোল এ ছেড়ে দেয়া হয় তবে হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় রাখা হবে।প্রকৃতপক্ষে সত্যি হলেও এটা হবে আনুষ্ঠানিকতা মাত্র যেহেতু আর্মড ফোর্সেস সার্ভিসেস এর কম্যান্ড ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ার কম্যান্ড এর আওতায় দেয়া হয়েছে।
এই তথ্য কতটুকু সত্যি তা ভেরিফাই করা সম্ভব না।রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং ইসরায়েলি MOSSAD এর সহায়তায় অত্যান্ত দক্ষতার সাথে পাকিস্তানী আই এস আই এমনকি পৃথিবীর একমাত্র সুপার পাওয়ার এর CLANDESTINE ESPIONAGE এজেন্সী CIA কে পর্যন্ত বাংলাদেশ টেরিটোরী থেকে দূরে রেখেছে। রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং যে বিশ্বখ্যাত espionage এজেন্সী তা নয়।ইসরায়েলী MOSSAD এর সহায়তায় ইন্ডিয়া তাদের ESPIONAGE এজেন্সিকে তাদের চির শত্রু পাকিস্তানী আই এস আই কে টক্কর দেয়ার মতো অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে RAW, MOSSAD এর সহায়তায় পুরা বাংলাদেশকে একটি প্রশিক্ষণ ভূমি হিসেবে তৈরী করেছে। তাদের প্রথম ড্রিল ছিল পিলখানায় বিনা বাধায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া। মোসাদ গাজা স্ট্রিপ এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এ এধরণের অপারেশন প্রায়ই চালায়। ঠিক একই কায়দায় RAW পিলখানায় অপেরেশন চালিয়ে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে গেছে।হাসিনা জেনেও না জানার ভভান করেছে।
অনেক বিজ্ঞ এবং বুদ্ধিজীবী নামক ইন্ডিয়ান পোষা দালালগুলো মাঝে মাঝে ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্টিং মিডিয়ায় নিন্দুকদের সামনে দুধ খাওয়া শিশুদের মতো করে জিজ্ঞাসা করে "মহানেত্রী, জননেত্রী, বিশ্বনেত্রী যিনি কিনা মুজিব কন্যা হাসিনা কেন পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটাতে যাবে?এ প্রশ্নের উত্তর তাদের নিজেদেরই জানা আছে তবুও এই প্রশ্ন তুলে যদি আরেকবার হাসিনা পদচুম্বনের সুযোগ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যাদের বিন্দুমাত্র কান্ডজ্ঞান আছে তারা সকলেই জানে যে, হাসিনা বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠানকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে। সেই প্রতিষ্ঠানটি হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশেকে যদি ইন্ডিয়ার কাছে দশবারও বিক্রি করা হয় হাসিনা'র তাতে আপত্তি নেই। হাসিনা ব্যাক্তি হিসেবে প্রচন্ড প্রতিশোধ পরায়ণ এবং ক্ষমতালোভী।উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কিছুদিন আগে
হাসিনা কুমিল্লা গিয়েছিলেন।কুমিল্লার আপামর জনতা কুমিল্লাকে বিভাগ করার দাবী জানালো।উত্তরে হাসিনা বললো, "কুমিল্লা এলেই আমার মোস্তাকের কথা মনে পরে। অর্থাৎ, কুমিল্লাকে বিভাগ করার দাবি উঠলেই হাসিনার মনে ভেসে উঠে খন্দকার মোস্তাকের কথা। হাসিনা নিজ মুখে তা শিকারও করেছে।হিংস্রপরায়ণতার ও একটা শেষে আছে। খন্দকার মোস্তাক যদি তার পিতৃ হত্যার সাথে জড়িতও থেকে থাকে, তার পরেও কুমিল্লাবাসীদের প্রতি মোস্তাকের জন্য প্রতিশোধ নেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? হাসিনার কথামতে মোস্তাকের জন্য যদি পুরো কুমিল্লাকে মাটির সাথেও মিশিয়ে দেয়া হয় তাতেও তার আপত্তি নেই। একজন জাতীয় নেতার চরিত্র যদি এইরকম হয় তার কাছ থেকে ১৬ কোটি মানুষ অথবা সভ্য সমাজ কি আশা করতে পারে ?
পাশাপাশি, হাসিনা'র অভিভাবক ইন্ডিয়ার চির শত্রু বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী। ইন্ডিয়া কখনোই ভুলে যায়নি যে জামাতে ইসলামী আদর্শগত কারণে এবং বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে স্বাধীনতা চায়নি।ঠিক একই কারণে আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবর রহমানও পাকিস্তানকে ভাঙতে চাননি। ইন্ডিয়া সাফল্যের সাথে জাসদের এবং হাসিনা/এরশাদের সহায়তায় শেখ মুজিব এবং জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর তাদের জন্য জামাতীদের মুছে ফেলা জরুরি হয়ে পড়েছিল। হাসিনা এবং এরশাদের সহায়তায় তারা জামাতীদের নিঃশ্চিহ্ন করতে মোটামুটি সফল হয়েছে।কিন্তু ইন্ডিয়া তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি। ইন্ডিয়া বাংলাদেশের বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে যে বাংলাদেশে আর পাঞ্জাবী আর টুপী চলবে না। বাঁচতে হলে সকলকে ধুতি পরে কপালে তিলক লাগাতে হবে। এটা বোঝানোর জন্যই হেফাজতে ইসলামী নামের একটা সংগঠনটিকে মার্চ ২০১৪ থেকে ব্যবহার করা শুরু করে। আমি জানিনা হেফাজত প্রধান আল্লামা শফি সত্যিকার অর্থে ধার্মিক কিনা, কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে তিনি একেবারেই অজ্ঞ যার রাজনৈতিক ভিশন জিরো। ওনাকে দিয়ে ওয়াজ মাহফিল করিয়ে দোয়া পড়ানো যায় কিনা জানিনা তবে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে ওনাকে কথা বলতে দেয়া বা তার উপদেশ নেয়া আত্মহত্যার সামিল।হাসিনা এবং ইন্ডিয়ান সশস্ত্র মের্সেনারিদের দ্বারা হাজার হাজার নিরপরাধ মুসুল্লিদের রাস্তাঘাটে হত্যা করার পর, হাসিনা আল্লামা সফিকে দুইটি শর্ত প্রদান করে:
১. হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার যা চায় হেফাজতকে তাই করতে হবে। সেক্ষেত্রে হেফাজত সরকার থেকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা পাবে।তাকে সকল ক্ষেত্রে মন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হবে।
২. হেফাজত যদি হাসিনা বা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করে তবে আল্লামা সফিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হবে। পাশাপাশি,হেফাজতের লোকজনদের লাশ কুকুর বিড়ালের মতো রাস্তা ঘাটে পরে থাকবে।
ভেবে চিনতে আল্লামা সফি প্রথম শর্তটি মেনে নেন। আল্লামা সফির না বোঝার কোনো কারণ নেই যে বিএনপি বা জামায়াত নিজেদেরকেই রক্ষা করতে পারছে না। তাছাড়া, জামাতের নেতাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর পর বিএনপির নিষ্ক্রিয়তাও হেফাজত তথা অন্য ইসলামিক দলগুলোকে হতাশ করে।
কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম যে সেনা প্রধানকে ব্রিটিশ ভিসা দেয়া হয়নি। এটাও কি সম্ভব?
তাছাড়া সেনা বাহিনীর সদস্যদের রাস্তাঘাটে জামাকাপড় খুলে নেংটা করে মারপিট করা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপারে পরিণত হয়েছে।বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখন ৮০'র দশকের আনসার বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে। রক্ষীবাহিনীর(ছাত্রলীগ ও যুবলীগ) জনসমক্ষে সেনা সদস্যদের রাস্তাঘাটে কান ধরে উঠবস করায়। জনগণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে আর ভাবে "এই কি সেই আর্মি যারা দেশের দুরবস্থার সময় দেশকে রক্ষা করেছে? নাকি তাদেরকে হাসিনা এবং ইন্ডিয়া নিউটর করিয়ে হিজড়াতে পরিণত করেছে???
আমার জানা মতে আর্মি হেডকোয়ার্টার এর মধ্যেই ইন্ডিয়ার কন্ট্রোল সেন্টার সেট করা হয়েছে। বাংলাদেশী অফিসারদের ভিতর ডিভিশন তৈরী করা হয়েছে। একজনের প্রতি আরেকজনের বিশ্বাস নষ্ট করা হয়েছে। সেনা সদস্যদের ভিতর থেকে দেশপ্রেম বের করে চাকুরী প্রেম ঢুকানো হয়েছে।
হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ এর সিদ্ধান্ত: ইন্ডিয়া বাংলাদেশ শাসন করবে ; কিন্তু প্রকাশ্যে তা বলা যাবে না। গর্ধব বাংলাদেশীরা এক যুগেও তা টের পাবে না।
বাংলাদেশ হবে ইন্ডিয়ার CHECHNYA। রাশিয়া যেভাবে রমজান কাদিরভ কে দিয়ে CHECHNYA কন্ট্রোল করছে ইন্ডিয়া ঠিক একই ভাবে হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশ কন্ট্রোল করছে। বাংলাদেশের অবস্থা CHECHNYA'র চেয়েও ভয়াবহ হবে যদি না আমরা এখন থেকেই রুখে না দাড়াই।
JACOB MILTON
WE ARE THE PEOPLE
0 comments:
Post a Comment