কেন ভারত বাংলাদেশের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এতো মরিয়া… হতবাক বিশ্ববাসী !!

আমার বাবা শেখ মুজিব উনিশ শত একাত্তরে বাংলাদেশকে এজন্য স্বাধীন করেননি যে ২০১৭ সালে তারই মেয়ে ইন্ডিয়ার সাথে আত্মঘাতী প্রতিরক্ষা

চুক্তি করে সেই স্বাধীনতাকে পদদলিত করবে !!!!



ইন্ডিয়া'র রক্তচোষা বাংলাদেশ নীতি এমন পর্যায়ে পৌছেচে যে আজ তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বিনা যুদ্ধে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে।  অর্থাৎ, ইন্ডিয়া শেখ হাসিনা'র হাতে একটা পিস্তল দিয়ে তারা বলছে ," তুমি তো আমাদেরই একজন।এবার এই পিস্তলটা তোমার নিজের কপালে ঠেকিয়ে গুলি করো। তোমার কোনো ক্ষতি হবে না। তুমি বেঁচেই থাকবে।"

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অবিসংবিদিত নেতা শেখ মুজিব ইন্ডিয়ার সকল ড্রামা বোঝা সত্ত্বেও বলতে বাধ্য হয়েছিলেন বলতে "এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।" ১৯৭০ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার এক ব্রিফিং জুলফিকার আলী ভুট্টো, ইয়াহিয়া খান এবং শেখ মুজিবকে বলেছিলেন "DUE TO GEOGRAPHICAL POSITION, EAST PAKISTAN IS DEPENDABLE". শেখ মুজিব আগেই সেকথা জানতেন। তিনি আরোও জানতেন যে "পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে একত্রে থাকলে গণতন্ত্রায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়।" শেখ মুজিব তার অনুপস্থিতে অন্যান্য আওয়ামী নেতাদের নেয়া অনেক সিদ্ধান্তই পছন্দ করেন নাই।তাদের অনেকেই ইন্ডিয়া'র স্বার্থ রক্ষা করছে এটা তিনি জানতেন। যার জন্য শেখ মুজিব তাজউদ্দিনকে মুখের উপর ধমক দিয়ে বলেছিলেন "ইন্ডিয়া'র প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানকে ভাঙ্গার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কোনো প্রয়োজনই ছিল না।"(আহমেদুল কবির, সম্পাদক-দৈনিক সংবাদ, হাফিজুর রহমান,সম্পাদক-দৈনিক বাংলা)I  

আমি এক কথায় বলবো যে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের ব্যাক্তিগত লোভ, অযোগ্যতা, অদূরদর্শিতা এবং দেশপ্রেমের অভাব দেশকে আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের এইসব অযোগ্যতার  সুযোগ কাজে লাগিয়েছে রক্তচোষা ইন্ডিয়া।ইন্ডিয়া আমাদেরকে শরীরে শেষ রক্তবিন্দুটি থাকা পর্যন্ত চুষতে থাকবে।যদি কেউ BRAM STOKER কালজয়ী উপন্যাস DRACULA পড়ে থাকেন তবে ধরে নেন INDIA হলো সেই উপন্যাসের TRANSYLVANIA. ওই উপন্যাসের মতোই কাউন্ট DRACULA আমাদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে রক্ত চুষবে।(সীমান্তে ফেলানী হত্যা সহ আরো সকল নিরীহ বাংলাদেশীদের জীবনহানি।)

এই সামরিক চুক্তির বিষয়টি যদি আমাদের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করে তবে শেখ হাসিনা  উচিত অনতিবিলম্বে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো নেয়া:

১.  অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠনের রূপরেখা ঘোষণা করা। 
২.  জাতীয় একাত্মতা তৈরী করার লক্ষ্যে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জরুরী ভিত্তিতে বসা। বিশেষ করে বিএনপি।
৩.  সকল রাজনৈতিক দলের যৌথ ঘোষণা দেয়া যে বাংলাদেশের অস্তিত্বের স্বার্থে  কোনো রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়ার সাথে কোনো প্রকার সামরিক চুক্তি করবে না।এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান সরকার চাপ প্রয়োগ করলে শেখ হাসিনা'র উচিত হবে তার শাসনামলে ইন্ডিয়া'র সাথে সকল চুক্তি পার্লিয়ামেন্টে পাঠিয়ে দুই তৃতীয়াংশ ভোটের মাধ্যমে নাকচ করে দেয়া।   
৪.  সকল রাজনৈতিক দলের  সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চীন, রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে একটি দেশকে বেঁছে নিয়ে তাদের সাথে সামরিক চুক্তি করা। 
৫.  পুলিশ, বিজিবি, RAB এবং আর্মির  এর ভেতরে লুকিয়ে থাকা ইন্ডিয়ার নাগরিকদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার অথবা দেশ ত্যাগের নির্দেশ। 

এধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো যোগ্যতা শেখ হাসিনা'র আছে। তার শরীরে যে রক্ত বইছে সেই রক্ত যদি খাঁটি হয় তবে হাসিনা'র পক্ষেই সম্ভব এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়া। জানি এধরণের সিদ্ধান্ত নিলে শেখ হাসিনা'র কি ধরণের মাশুল দিতে হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের মধ্যে ফিরে  আসে তবে বাংলাদেশের জনগণই তাকে রক্ষা করবে। মহান নেতা শেখ মুজিবকে তার আশেপাশের পা-চাটার দল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল।  আজ ঠিক একই ভাবে শেখ হাসিনা'র  আসে পাশের পা-চাটার  দল তাকেও জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। 

শেখ হাসিনা যদি এই পা-চাটার দলকে এড়িয়ে আবার জনগনের মাঝে ফিরে আসতে সক্ষম হয় তবে জনগণ তাকে বুকের রক্ত দিয়ে রক্ষা করবে।

এখনই হাসিনা'র সুযোগ এই সামরিক চুক্তির সম্পূর্ণ বিরোধিতার মধ্যে দিয়া জনগণের মধ্যে ফিরে আসা। 

জেকব  মিল্টন 
We Are The People
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment