আওয়ামী লীগ এর জন্য হিন্দু সম্প্রদায় ভোট ব্যাঙ্ক। ভোটের পর তারা মালাঊন

কোনো এক অজানা কারণে বাংলাদেশী হিন্দুরা কোনো একসময়ে কারো বুদ্ধিতে  বা  নির্দেশে আওয়ামী লীগের প্রেমে পড়েছিল অথবা হিন্দুরা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করার জন্য প্রেমের অভিনয় করেছিল। তাদের স্বার্থ ছিল ইন্ডিয়াকে হিন্দুদের তীর্থভূমিতে রূপান্তর করা আর ইন্ডিয়া'র প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানকে বিভক্ত করা।

ইন্ডিয়া তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানী আওয়ামী লীগ এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করেছিল তাদের স্বার্থে।পাকিস্তানী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করা খুবই জরুরি ছিল ভারতের জন্য। ইন্ডিয়া হিন্দু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগ এর ভোট ব্যাঙ্ক বানাতে সাহায্য করেছিল যাতে করে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানী মুসলিম লীগকে ব্যালটের মাধ্যমে হারাতে পারে। এর পরের ঘটনা আমাদের সকলের জানা এবং আমি তার পুনরাবৃত্তি করবো না। কিন্তু সেই তখন থেকেই ইন্ডিয়া'র পরামর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশী হিন্দুরা আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় স্ত্রী'র ভূমিকা পালন করে আসছে। আর আওয়ামী লীগ সময়  মতো এই বাংলাদেশী হিন্দুদের ট্রাম্প কার্ড হিসেবেই ব্যবহার করে।  উদাহরণ স্বরূপ বলা  যায় যে আওয়ামী লীগ কখন কখন হিন্দুদের ব্যবহার করে:

১.   ক্ষমতায় না থাকলে, আওয়ামী লীগ এর কোনো আন্দোলন যখন কাজ করে না তখন তারা হিন্দু নির্যাতনের কাহিনী বানিয়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশেষ করে  ইন্ডিয়া'র। ওই লোক দেখানো নির্যাতন আওয়ামী লীগের লোকজনরাই করে এবং কোনো এক অজানা কারণে হিন্দুরা তা মেনে নেয়।

২.   ওই লোক দেখানো নির্যাতনের সময়  আওয়ামী লীগ এর লোকজনরা কখনো কখনো সত্যিকার অর্থেই হিন্দুদের নির্যাতন করে অর্থনৈতিক অথবা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করে।

৩.   ভোটের সময় আওয়ামী লীগ কপালে তিলক লাগিয়ে দূর্গা পূজা থেকে লিঙ্গ পূজা পর্যন্ত পালন করে।বাংলাদেশী হিন্দুরা এটা ভালো করেই জানে আওয়ামী লীগ এর উদ্দেশ্যে।

৪.   কিন্তু আবার কোনো এক অজানা কারণে ভোটার সময় আওয়ামী লীগকেই ভোট দেয়।

আমি এই বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে চিন্তা করে দেখেছি। আমার মনে হয় :

১.   ইন্ডিয়া পৃথিবী ব্যাপী বলে বেড়ায় যে তারা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। যাহা কোনো অবস্থাতেই সত্য না।তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে সম্ভব না এটা তারা ভালো ভাবেই জানে।

২.   ইন্ডিয়ার শিক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক অনেক  হিন্দুরা অবশ্য ইন্ডিয়াকে  হিন্দু রাষ্ট্র মনেও করে না। কিন্তু বাংলাদেশের ৯৯% হিন্দুরা ইন্ডিয়াকে হিন্দু রাষ্ট্র মনে করে। ইন্ডিয়া যদি হিন্দু রাষ্ট্র না ও  হয়, তবুও বাংলাদেশী ৯৯% হিন্দুরা ইন্ডিয়াকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চায়। বাংলাদেশী হিন্দুরা পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র নেপালকে তাদের তীর্থভূমি মনে করে না কিন্তু ইন্ডিয়াকে তীর্থ ভূমি বানানোর জন্য তারা সকলে বি জে পি'র সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশী হিন্দুদের ভিতর এজন্যই কংগ্রেস এর সদস্য একরকম নেই বললেই চলে। বাংলাদেশী হিন্দুরা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এই চিন্তা করে যে মুসলমানদের তীর্থভূমি রয়েছে। তাদের কেন থাকবে না। তাই তারা ইন্ডিয়াকে বানাতে চায় তাদের মক্কা।এজন্য তারা ইন্ডিয়ান কংগ্রেস পার্টির উপর অত্যান্ত নাখোশ যে কংগ্রেস ইন্ডিয়াকে হিন্দুদের তীর্থভূমি বানানোর পক্ষে না।

৩.   ইন্ডিয়া বাংলাদেশী হিন্দুদের দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা তো দূরে থাক, তারা বাংলাদেশী হিন্দুদের মনে করে তাদের সেবা দাসী। শুধুমাত্র সময়মাত্র তাদেরকে নিয়ে রাত্রে ফুর্তি করবে কিন্তু অন্য সময় তারা অচ্ছুৎ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিহারীরা মনে করে তারা পাকিস্তানী কিন্তু পাকিস্তানিরা তাদেরকে মনে করে রাস্তার জঞ্জাল।

বাংলাদেশের হিন্দু'রা এই কথাগুলো খুব ভালো করেই জানে। তারা জানে যে ইন্ডিয়া তাদেরকে বাংলাদেশে রেখে তাদের সময় মতো ব্যাবহার করবে কিন্তু ইন্ডিয়ায় নিয়ে তাদেরকে পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা অথবা নাগরিকত্ব কোনোদিনই দিবে না। ইন্ডিয়ার কাছে বাংলাদেশী হিন্দুরা অচ্ছুৎ ধরণের বিচ্ছু তার উপর বাংলাদেশী হিন্দুরা অর্থহীন, অশিক্ষিত, অকৃতজ্ঞ এবং জঞ্জাল। এদের চেয়ে ইন্ডিয়ার পয়সাধারী এবং শিক্ষিত মুসলমানরা অনেক ভালো যদিও ওই মুসলমানরা পাকিস্তানী পতাকা উড়ায়।

এমতাবস্থায় বাংলাদেশী হিন্দুরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে ইন্ডিয়ান মনিবদের খুশি করতে। তাতে যদি তাদের নামের শেষে মীরজাফর ও যোগ হয় তাতে কিছু যায় আসে না। তারা বাংলাদেশকে ইন্ডিয়া'র অংশ বানাতে পারলে ইন্ডিয়া হবে বৃহত্তর হিন্দুস্থান। তখন ইন্ডিয়াকে হিন্দুদের তীর্থভূমি বানাতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা না। বাংলাদেশী  হিন্দুরা ইন্ডিয়ার অবহেলা বহু কষ্টে সহ্য করে আর চোখের পানি ফেলে।  কিন্তু আওয়ামী লীগ যবনদের দ্বারা তারা আর দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা চায় না। তারা রাত্রি বেলা বিছানায় চুমু খাবে কিন্তু দিনের বেলায় তাদেরকে মালায়ুন বলে দুরদুর করবে, এটা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা যায় না।

অথচ, বাংলাদেশের একজন হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ এবং মুসলিম নাগরিক সমান অধিকারের অধিকারী।সকল সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব ক্ষমতাসীন সরকারের। আবার প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করা। কোনো সম্প্রদায়ের যে কোনো নাগরিক যদি বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে অন্য রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করে তবে ওই নাগরিক কোনো সম্প্রদায়ের বা ধর্মের  অন্তর্ভুক্তক না। অর্থাৎ, ওই নাগরিকের কোনো ধর্ম নাই। সে হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ বা মুসলমান না। তাকে কুলাঙ্গার, বেঈমান, মুনাফেক থেকে শুরু করে যা কিছুই বলা যায়।  কিন্তু তারপরেও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যাক্তি সুবিচার পাওয়ার অধিকার রাখে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে, যদিও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তার কোনো মূল্য নাই।

বাংলাদেশের সকল মুসলমানদের দায়িত্ব হিন্দু, খ্রীষ্টান এবং বৌদ্ধদের সার্বিক ভাবে সমান অধিকার দিয়ে তাদেরকে রক্ষা করা। এই দায়িত্ব থেকে যদি কেউ এড়িয়ে যায় তবে সে মুসলমান না। ঠিক সমানভাবেই, একজন প্রকৃত হিন্দু সবার আগে বাংলাদেশকে ভালোবাসবে এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর হবে। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে অন্য রাষ্ট্রের গুণকীর্তন করে তাদের স্বার্থে কাজ করলে ওই ব্যাক্তি প্রকৃত হিন্দু না।

জেকব মিল্টন
উই আর দি পিপল 
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment