ইন্টারনেট ডাটার ক্রয় মূল্য ২৬ পয়সা বিক্রয়মূল্য ১৭৫ থেকে ২৫০ টাকা


৩০৩ টাকায় ২৮ দিন অফুরন্ত কথা বলা যাবে, যে কোন অপারেটরে, লোকাল, এসটিডি, রোমিং সব। এসএমএসও একই রকম।

আর ২৮ জিবি ৪জি নেট আনলিমিটেড, তবে ফেয়ার ইউজেস পলিসি হিসেবে পার ডে ১জিবি করে উইজ করতে পারবে।
এমন কোন প্যাকেজ হলে কেমন হবে?

ভাবছেন মশকরা করছি? মোটেও না। এমনটাই প্যাকেজ দিচ্ছে জিও। জিও এর নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? এবারের ফিল্ম ফেয়ার এ্যাওয়ার্ড তাদের সৌজন্যেই তো দেয়া হলো। এবার মনে পরেছে, শাহরুখ খান কিভাবে এর বিজ্ঞাপন করেছিল স্টেজে।

জিও ভারতে নতুন মোবাইল অপারেটর কোম্পানী, যারা ৪জি নেটওয়ার্কে তাদের সেবা দিতে আসছে। এসেই তারা পুরো হুলস্থুল বাধিয়ে দিয়েছে। ৬মাস ফ্রিতে ৪জি নেট ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে দারুন সাড়া ফেলে দিয়েছে। এছাড়া উপরের মতো ওমন প্রাইম প্যাকেজ তো আছেই।
এতো গেল ভারতের কথা। এবার আমাদের দেশে আসা যাক।

প্রতিদিন না হলেও কমপক্ষে ১০টা মেসেজ আসে, যাতে কত টাকায় কত ঘন্টা নেট ব্যবহার করা যাবে তার অফারই বেশী। এই অফার তো ঐ অফার। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, এগুলোর মধ্যে একটা অফারও আপনার পছন্দ হবে না। কারন অযৌক্তিক সব অফার। যদিও কোন ভাল অফার থাকেও তার মেয়াদকাল এত কম থাকে যেন, অনেকটা এরকম- একলাখ টাকার কথা বলা ফ্রি, তবে সময় মাত্র ১০ মিনিট। নতুবা ১৫০এমবি মাত্র ৩০টাকায়, সময় ১দিন।

যেখানে স্মার্টফোনে কোন কিছু ওপেন না করলেও নেট ব্যয় হয়ে যাবে ঐ ১৫০এমবি। সেখানে এমন হাস্যকর অফারের কি মানে? বিশ্বাস করেন, ২০এমবির অফারও আছে।
অনেক আগে শুনেছিলাম, বাংলাদেশ নাকি ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানী করবে। কারন ব্যান্ডউইথ এমন এক প্রকার জিনিস, যা সঞ্চয় করা যায় না। তাই আমাদের জন্য বরাদ্দ যতটুকু ব্যান্ডউইথ থাকে, তার দশ ভাগের তিন ভাগ হয়ত ব্যবহৃত হয়। বাকিগুলো নষ্ট হয়। অপরদিকে ভারতের জন্য বরাদ্দকৃত সমস্ত ব্যান্ডউইথ শেষ। তাই তাদের সরকার জনগণকে আরো বেশী এবং ভাল ইন্টারনেট সেবা দিতে ব্যান্ডউইথ আমদানী করবে।

এখন দেখেন, এক দেশ তার জনগণকে সেবা দিতে ব্যান্ডউইথ আমদানী করছে, অপরদিকে আরেকদেশ জনগণের সেবা তো দূরের কথা বরাদ্দকৃত ব্যান্ডউইথও রপ্তানী করছে। অথচ উচিত ছিল অবশিষ্ট ব্যান্ডউইথ গুলো আরো সাশ্রীয় মূল্যে কিভাবে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা করার।

কিন্তু এইসব চিন্তা করবে কে? তথ্য প্রযুক্তি বুঝে এমন মন্ত্রী কোথায়? সাহারা খাতুন যখন টেলি মন্ত্রী ছিলেন, তাকে নাকি সাংবাদিকরা জিঙ্গেস করেছিল- হ্যাকারদের সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

তিনি নাকি বলেছিলেন- হকারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে রাস্তা দখল করে হকারী করতে দেয়া হবে না। হবে না।


যাই হোক, আমাদের সরকার নিজেই একটি টেলিফোন অপারেটর ব্যবসায়ী। সরকারী প্রতিষ্ঠান ‘টেলিটক’ যখন এলো, তখন এই সম্ভাবনা মনে উদয় হয়েছিল যে, এবার বোধহয় সবকিছুরই মূল্য কমবে।

কিন্তু ততটা হলো না, যতটা হওয়া উচিত ছিল।

আজকের বনিকবার্তায় একটি রিপোর্ট দেখলাম, প্রতি ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট ডাটার ক্রয়মূল্য ২৬ পয়সা, অথচ তা অপারেটরগুলো বিক্রি করছে ১৮০-২৭৫ টাকায়। ক্রয়মূল্যের কত গুন বেশী হলো? সর্বোচ্চ ১০৪৫ গুন বেশী দামে আমাদের কাছে ইন্টারনেট বিক্রি করছে মোবাইল অপারেটরগুলো। তাও ৩জির নামে ২জি দিয়ে প্রতারনা করে।
এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি?

সরকার কিছু করবে ভাবছেন? সরকার নিজেই তো একজন অপারেটর ব্যবসায়ী। সেও তো কম ডাকাতি করছে না। তাহলে?
আসুন, সবাই মিলে দেশের ইন্টারনেট বিশেষ করে মোবাইল নেট বর্জন করে দেশের মোবাইল নেট সেবার বারোটা বাজিয়ে দেই। বেশী না একমাস সবাই মোবাইলের নেট বন্ধ রাখেন, দেখেন সবগুলো লাইনে চলে আসবে। প্রচুর টাকা খেয়েছে এইসব রক্ত চোষা কোম্পানীগুলো। সবচেয়ে বেশী গ্রামীণফোন। অথচ এই গ্রামীণফোন (টেলিনর) কিন্তু ভারতে টিকতে পারল না। তারা শেষমেশ এয়ারটেলের কাছে বিক্রি করে চলে গেছে। কারন সবখানে তো আর বাংলাদেশের মতো মন্ত্রীরা নেই। সেখানে দেশ ও দেশের মানুষ সবার আগে।

যা আমাদের মধ্যে নেই। ভারতে ২০১৮ সালের মধ্যে ফিঙ্গার প্রিন্ট মোবাইল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং ৪জি নেটওয়ার্কও পুরো ভারতের ৬০% কভারেজ দিয়ে দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারতের সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ হবে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে। ওদের আধার কার্ডে অলরেডি কর্ণিয়া ও ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যান করা আছে। পরবর্তীতে সব কার্ডই এসে মিলবে আধার কার্ডে। মোবাইল টু মোবাইল টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে, এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে, সর্বত্র ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবহার করা হবে।




হুদাই আমরা ডিজিটাল ডিজিটাল বলে চিৎকার করি।

ডিজিটাল শব্দের মানে বুঝস?
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment