প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং তার উত্তসূরী



অবৈধ প্রধানমন্ত্রী এবং হিন্দুস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হাসিনা ইদানিং অবসরের কথা বলছেন। আর কত মিথ্যা বলা যায় মরা বাবার কসম খেয়ে। এখন তার উত্তসূরী দরকার। রেহানাকে তিনি বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস করেননা শেখ সেলিমকে। বিশ্বাস করেননা দুই পয়সার দালাল হাসনাত আব্দুল্লাকে। মেয়ের উপর খুব একটা ভরসা করা যায় না। জামাইটা তার মায়ের মতো ত্যাদড় হয়েছে। শেষ ভরসা হলো অক্ষম স্বামীর অক্ষম ছাওয়াল সজীব আহমেদ ওয়াজেদ।

হাসিনা'র মনোবাসনা বাংলাদেশে রাজতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র টাইপ শাসনবাবস্থা কায়েম করা। তার এই মনোবাসনার কারণ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানে কিন্তু তাদের পরিবারের ক্ষমতা সংক্রান্ত অন্তর্কলহ বাহিরে নিতে রাজি না। মুজিব শেখ পরিবারের সবাই জানে যে সজীব ওয়াজেদ একটা মদ্যপ, যৌন রোগে আক্রান্ত (ইম্পোটেন্স)অথচ নারীলোভী, টাকা অর্জনের জন্য পারেনা এহেন কোন কাজ নেই যা সে করতে পারেনা। এর পাশাপাশি, জুনাইদ আহমেদ পলকের মতো দুই চারটা ভালো ছাত্র আশেপাশে রেখে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের শিক্ষাগত অযোগ্যতাকে যোগ্যতায় পরিণত করে যেহেতু কোথাও ডোনেশন দিয়ে ভর্তি হওয়া যায় কিন্তু পেতে হলে হয় নিজের যোগ্যতা থাকতে হয় নতুবা জুয়ানিডি পলকের মতো মিনি-মি'র দরকার পরে।


প্রসঙ্গক্রমে না বলেই পারছিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কোনো কার্যক্রমই সজীব ওয়াজেদের ভূমিকা নেই। বরং পলকের তৈরী স্ট্রাকচারকে কলুষিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের টাকা সরিয়ে নিজেকে Billionaire পরিণত করেছে।পাশাপাশি, জুনায়েদের যোগ্যতা ব্যবহার করে এখানে সেখানে নিজের কৃতিত্ব জাহির করে বেড়ায় আবার মিলিয়ন ডলার খরচ করে এওয়ার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগ সহ সকলের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করার প্রচেষ্টা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।

মাঝে মাঝে আমি স্বৈরশাসক এরশাদের জন্য দুঃখ অনুভব করি।উনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পাচাটা বুদ্ধিজীবী কবিদের দিয়ে কবিতা লিখাতেন। ওই কবিতাগুলো নিজের নামে চালিয়ে দিতেন।ঐসব পাচাটা কবিরা কবিতা লিখে এরশাদের চারপাশে ঘুরঘুর করতো। এরশাদ কাউকে জাতীয় কবি বানিয়েছেন। কাউকে আবার মন্ত্রী বানিয়েছেন। এরশাদ আমেরিকা গিয়ে মিলিয়ন ডলার খরচ করে দুচারটা ডিগ্রী কিনে নিতেন, দুচারজন সিনেটরদের ক্যাম্পেইনে হাজার হাজার ডলার দিয়ে একটা ফটো তুলে দেশে গিয়ে পত্র পত্রিকায় দিতেন। মোটা অংকের টাকা দিয়ে জাতিসংঘ এফিলিয়েট দুচারটা সংঘটনের (যারা সারাবছর ধরে ফান্ড রেইজ করে দুস্থদের জন্য) কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ড নিয়ে নিজেকে গৌরবান্বিত করেছে। এখন এরশাদ মূলত কি করছে?নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে যে উনি এখন সজীব ওয়াজেদের রেপুটেশন উপদেষ্টার কাজ নিয়েছেন। জুনাইদ পলক এখন মিনি-মি'র ভূমিকা পালন করছে।এরশাদ সাহেবের ডাইরেকশন অনুযায়ী সজীব ওয়াজেদ জয় ডিগ্রী,অ্যাওয়ার্ড পরস্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক সবকিছু সমান তালে করে যাচ্ছে।

হাসিনা ওয়াজেদ বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন তার পৌরষত্বহীন ছেলের আর্থিক যোগান দিতে। ডলার ছাড়া শুধুমাত্র অতীতের নিউ ইয়র্ক প্রবাসী আশরাফুল নামের কারো বৌকে পাওয়া যায় আবার তাদের নাম গোটাপাঁচেক বাড়িও কেনা যায় কিন্তু বিদেশী বৌকে বিছানায় সুখী রাখতে না পারলে ডলার দিয়ে সুখী রাখতে হয়। হাসিনা ওয়াজেদ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তার ছেলেকে যোগ্য দেখিয়ে তাকে তার অবৈতনিক আইটি উপদেষ্টা করলেন বাহবা নেয়ার জন্য অথচ টেবিলের নীচে দিয়ে প্রতি মাসে এক লক্ষ্ সিষট্টি হাজার ডলার দেওয়া শুরু করলেন বহু আগে থেকেই। কেউই এটা জানতোনা। গর্ধব লতিফ সিদ্দিকী সব লোটপাট করে দিলো নিউ ইয়র্কে গিয়ে।

বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা লুটপাটের ভিতরে যখন জয়ের হাতের ছাপ বেরিয়ে আশা শুরু করলো, জয় এবং তার মা হাসিনা জনগণের চোখ অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য শফিক রেহমানকে হাজতে ঢোকালো। বলা হলো "শফিক রেহমান গর্ধব সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে খুন করতে চেয়েছিলো।" অথচ হুবহু একই মামলা আমেরিকা'র ফেডারেল কোর্টে ডিসমিস হয়ে গেছে। আমেরিকার ফেডারেল জজ সরাসরি বলে দিয়েছে যে জয় বাড়িয়ে মিথ্যা কথা বলেছে। আমেরিকার কোর্টে যখন জয়ের এই মিথ্যা কথা টিকে নাই , তার মা হাসিনা তড়িঘড়ি করে শফিক রেহমান আর মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করলেন নিজ ক্ষমতাবলে। সজীব আহমেদ ওয়াজেদ তখনও ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে বাংলাদেশকে মুগ্দ করে রেখেছিলো।
....চলবে ...

Jacob Milton
We Are The People
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment