জঙ্গি মুসা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারির মেয়ের জামাই!



সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহল এখন সারা দুনিয়ার মানুষ চেনে। এখানে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা ও নারী জঙ্গি মর্জিনা রয়েছে। তাদের ধরতে র‌্যাব, পুলিশ, সোয়তের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও অভিযানে অংশ নিয়েছে। কিন্তু জঙ্গিদের এতো শক্তি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন কুলিয়ে উঠতে পারছে না। তাদের এ শক্তির উৎস কোথায় জনমনে আজ দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

কে ঐ মুসা?

সে কি মাদরাসার ছাত্র?

মাদরাসার শিক্ষক?

হেফাজতি কোন হুজুরের জামাই?
সরকার, প্রসাশন ও চেতনা ব্যবসায়ীদের ভেতর থেকে যখন ‘কওমী মাদরাসা’ জঙ্গিদের ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড’ (আঁতুড় ঘর) বলা হচ্ছে। ‘কওমী মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে জঙ্গিবাদের ধারণা দেয়া হয়’ বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তখনই ‘মুসা’ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো এসব সম্পুর্ণ মিথ্যা। এসব অপপ্রচার। মাদরাসা শিক্ষার সাথে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের নুন্যতম সম্পর্ক নেই।

সরকার, প্রশাসন ও চেতনা ব্যবসায়ীরা অবাক না হলেও আপনি শুনে অবাক হয়ে যাবেন।
জেএমবি’র দুর্ধর্ষ জঙ্গি ‘মুসা’ কোন মাদরাসার ছাত্র ছিল না। কোন মাদরাসার শিক্ষকও না। বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর সে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়। পরে সেখান থেকে রেফার্ড নিয়ে ঢাকা কলেজে চলে আসে। এরপর সেখান থেকে পাশ করার পর উত্তরার লাইফ স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে।
এরপরও শেষ নয় …
‘মুসা’ বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঁইপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ের জামাইও।

ইতিমধ্যে যতো জঙ্গি ধরা পড়েছে সবাই কলেজ ইউনিভার্সিটির ছাত্র। কোন না কোনভাবে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। আজকের দুর্ধর্ষ জঙ্গি ‘মুসা’ও তাদের উত্তরসূরি বলে প্রমাণিত হলো।

যারা কওমী মাদরাসাকে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কারখানা বলে চিল্লায় তাদের বিবেক সুস্থ হোক। দেশ ও জাতির স্বার্থে শুভবুদ্ধির উদয় হোক। জঙ্গিবাদ নিপাত যাক। মানবতা মুক্তি পাক।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment