কম্পিউটার হ্যাকিং এর নাম দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি

রাকেশ আস্তানাকে দিয়ে ডাটা ম্যানেজমেন্ট এন্ড নেটওয়ার্ক সিকিউরিটির কথা বলে ইনভেস্টিগেশনের আগেই পুরানো প্রোগ্রাম মুছে (DELETE) ফেলার মাধ্যমে অপরাধীদের ধরাছোয়ার বাহিরে রাখা হয়। এবার আগুন লাগিয়ে সকল প্রমাণাদি পুড়িয়ে অপরাধীদের কোনোদিনই ধরা যাবে না তা নিশ্চিত করা হয়।

বাংলাদেশ এখন এমন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে যখন আইন ভাঙ্গা ই হলো আইন। আর এই আইনগুলো ভাঙছে স্বয়ং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার।

মার্চ ২০১৬, যখন বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে কম্পিউটার হ্যাকিং আর মাধ্যমে ১ বিলিয়ন ডলার লুট করে নেয়া হচ্ছিলো, তখনও ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এর তত্ত্বাবধানে। জুনায়েদ আহমেদ পলক নামের MINI ME OF সজীব আহমেদ JOY, ছিল স্টেট মিনিস্টার (ICT ডিভিশন).

Unofficially, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ হলেন ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী। তাকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়নি এজন্য যে হাসিনাপুত্র আমেরিকান নাগরিক। বাংলাদেশে হাসিনাপুত্রকে এমপি বা মন্ত্রী করতে হলে তাকে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আমেরিকান নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। কিন্তু ওখানেই বিশাল সমস্যা। হাসিনাপুত্র একবার আমেরিকার নাগরিকত্ব ছাড়লে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না যেহেতু সজীব আহমেদ ওয়াজেদ আমেরিকাতে ১৪ বার জেল খাটা দাগী আসামী। যাই হোক এটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।ফিরে যাই বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার হ্যাকিং এবং আগুন লাগা প্রসঙ্গে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার হ্যাকিং এর মাধ্যমে টাকা সরিয়ে নেয়ার পর তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান প্রটোকল অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রীর কাছে না গিয়ে হাসিনা ওয়াজেদ এর কাছে দৌড়ে যান। হাসিনা ওয়াজেদ এর কাছে যাওয়ার একটাই কারণ। আতিউর রহমান জানতেন যে কে ওই কম্পিউটার হ্যাকিং এর সাথে জড়িত। আর যে লোক ঐ হ্যাকিং সাথে জড়িত সে লোক নিশ্চয়ই হাসিনা ওয়াজেদ এর কলিজার টুকরা।আতিউর রহমান হাসিনার ওয়াজেদ এর কাছে প্রভুভক্ত কুকুর হয়ে দৌড়ে গিয়েছিলেন তার কলিজার টুকরাকে বাঁচাতে। হাসিনা ওয়াজেদ তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এটা আপাতত কাউকে না জানানোর জন্য। আতিউর রহমান হাসিনার কথা রেখেছে প্রভুভক্ত কুকুরের মতো। আতিউর রহমানকে যখন হাসিনা'র গার্ডিয়ান, ইন্ডিয়া ডেকে পাঠালো, সেখানে গিয়েও আতিউর রহমান প্রভুভক্ত কুকুরের দায়িত্ব পালন করেছেনা। প্রভুভক্ত কুকুর না হয়ে তার উপায়ও ছিল না। জান বাঁচানোর জন্য তার কুকুর হয়ে হাসিনার পাশে থাকাটাই তার কাচে শ্রেয় মনে হয়েছে।কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হাসিনা ওয়াজেদ মিডিয়ার সামনে কুমিরের কান্নায় বুক ভাসিয়ে তাকে আইন অনুযায়ী হাজতে পাঠানোর বদলে সম্মানের সাথে বাসায় পাঠিয়েছেন।


আওয়ামী লীগ এর হানিফ, নাসিম সহ কিছু পা-চাটা মদন লম্ফো ঝম্ফ করে দুনিয়া একাকার করলেন। বললেন আমেরিকার ফেডারেল রিজারভের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।অথচ এইসকল মাকাল ফলগুলো ভালো করেই জানতেন যে আওয়ামী ঘরানার কেউ একজন দাবি করেছে যে সে GOOGLE এর আগেই সে একটা সার্চ ইঞ্জিন তৈরী করেছিল। সেই একই ব্যাক্তি বলেছিলো যে বাংলাদেশের সব কিছু DIGITIZED করা হবে।তার প্রেক্ষিতেই তৈরী করা হলো DIGITAL BANGLADESH. জুনায়েদ পলক তার সকল যোগ্যতা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এর নামে লিখে দিলেন যেভাবে এরশাদের আমলে অনেক কবিয়ালের কবিতা এরশাদের নামে চালিয়ে দিতেন।

হাসিনাপুত্র জয়দাশকে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান করা হলো। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সেক্টরের DATA BASE এ জয়দাশের প্রবেশাধিকার থাকবে। ব্যাঙ্কিং সেক্টরও তার মধ্যে থাকবে। আমি তখন ই বলেছিলাম যে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার মূল লক্ষ্য অন্য কিছু। শেয়ার বাজারে ধ্বস নামলো।একটার পর একটা ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা করলো। যে কয়টা ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল প্রত্যেকটা ব্যাংকের DATA BASE এ জয়দাশের প্রবেশাধিকার ছিল।আমি নিউ ইয়র্কে বসে চিৎকার করে বলছিলাম "এসব কি হচ্ছে"?পুরো বাংলাদেশকে কি দুর্নীতি সিস্টেম আর আওতাভুক্ত করা হলো DIGITAL BANGLADESH নামের সরকারি বিভাগের মাধ্যমে!!

পরিশেষে ঘরের ডাকাত আঘাত করলো বাংলাদেশ BANK এর ভাণ্ডারে। দোষ দেয়া হলো আন্তর্জাতিক কম্পিউটার HACKERদের। কিন্তু কেউ জিজ্ঞাসা করলো না যে ঐ হ্যাকারদের সাথে জয়দাসের সম্পর্ক কি? বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যান্তরে হাজারো অনিয়ম সংগঠিত হলো একই দিনে কিন্তু কাউকেই গ্রেফতার করা হলো না। শুধু গায়েব হয়ে গেলো তানভীর হাসান জোহা। যে লোকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলো। খেসারির ডাল খাওয়া আব্দুল মাল বললেন এক বিলিয়ন ডলার কোনো টাকা হলো?

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রথমে শফিক রেহমান এবং পরে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলো জয়দাসের দাবিকৃত ভুয়া মামলার দ্বারা যে মামলা আমেরিকার ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।আমি সাথে সাথে এ বিষয়ের উপর শো করলাম।আমাকে অজানা ফোন নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হলো। আমি EXPERTদের নিয়ে আবার অন্য একটি শো করলাম। প্রতিদিনই আমাকে হুমকি দেয়া শুরু হলো। আমি এসব হুমকি ধমকি কানে না তুলে শো করে যাচ্ছিলাম।




Jacob Milton

We Are The People
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment